CITIZENSHIP AMENDMENT ACT (CAA) :

প্রিয় বন্ধুগণ,

আইন পাস হওয়ার চার বছর পর দেশ জুড়ে কার্যকর হল সিএএ (CAA) বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। আমাদের অনুরোধ অযথা উত্তেজিত বা ভুল প্রলোভনে পা দেবেন না। শৃঙ্খলাযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখুন। মানুষের সঙ্গে তথ্যটি শেয়ার করুন।
তার আগে একটা কথা বলে রাখি। আমাদের ঘোষণাপত্র অনুযায়ী সব কাজ করে দেখিযেছেন আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজী।
আমার বিশ্বাস সব কাজের মধ্যে আমাদের চির  আকাঙ্ক্ষিত একটি কাজ উনি করবেন। যেটা হলো অখন্ড ভারত।  এটাতে ইরাক, ইরান সামিল হওয়ার কথা উড়িয়ে দেয়া যায় না। কেউ ভারতকে টুকরো করার কথা ভাবে, আমরা আরো দেশ কে যুক্ত করার কথা ভাবছি। আর ওটা আমরা করেই দেখাবো
মোদীজীর গ্যারান্টি কে বাস্তবে পরিণত করতে, আমাদেরও গ্যারান্টি দিয়ে কাজ করতে হবে। আর সব চেয়ে প্রথমে, ওনাকে ভোট দিয়ে, ওনার হাত শক্ত করতে হবে।
CAA, রোহিঙ্গার মত জঙ্গীদের জন্য খুব সুন্দর ঔষধ। যে রাজনৈতিক দলগুলি এই অশুভ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এত দিন অত্যাচার করে চলেছে, তার অবসান হলো। এর জন্য মোদীজীকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভারত মাতা কি জয়।

কারা ভারতীয় নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত?

১৯৫০-এর ২৬ জানুয়ারি থেকে ১৯৮৭-র ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত যাঁদের জন্ম হয়েছে, তাঁরা জন্মসূত্রেই ভারতীয় নাগরিক। এ ক্ষেত্রে তাঁদের বাবা-মায়ের নাগরিকত্ব কী, তা দেখা হয় না। আবার ১৯৮৭ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁদের জন্মের সময় বাবা-মায়ের নাগরিকত্ব ভারতীয় হলে তবেই তাঁরা ভারতীয় হিসেবে চিহ্নিত হবেন। আর ২০০৪-এর পর যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে দেখা হবে, হয় বাবা-মাকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে অথবা যে কোনও একজন ভারতীয় ও অপরজন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী নন।
আবেদন করা যেতে পারে অনলাইনে। সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, যাঁরা আবেদন করতে চান, তাঁদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা ফর্ম। যেমন, শিশুদের ক্ষেত্রে আলাদা ফর্ম, অন্য দেশ থেকে এসে আবেদন করলে আলাদা ফর্ম। আবার বাবা বা মা, কেউ ভারতীয় বলে যাঁরা নাগরিকত্বের দাবি জানাতে চান তাঁদের জন্য পৃথক আবেদনের প্রক্রিয়া। এমন সাত রকমের ফর্ম রয়েছে।

ভারতে আবেদন করার জন্য কী কী লাগবে?

বিভিন্ন ফর্মের জন্য বিভিন্ন রকমের নথি প্রয়োজন হবে। নথিগুলি হল-

১.     বৈধ বিদেশি পাসপোর্ট।
২.     বাসস্থানের পারমিট।
৩.    বাবা-মায়ের জন্ম শংসাপত্র অথবা তাঁদের ভারতীয় পাসপোর্ট।
৪.    ৫০০ টাকার একটি ব্যাঙ্ক চালান, যা স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ায় জমা করতে হবে।
৫.    আবেদনকারীর স্বামী বা স্ত্রীর ভারতীয় পাসপোর্ট বা বার্থ সার্টিফিকেট।
৬.    বিয়ের শংসাপত্র বা ম্যারেজ সার্টিফিকেট।
৭.     ভারতে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। (ভিনদেশ থেকে এলে)
৮.    ভারতে ব্যবহৃত যে কোনও একটি ভাষা সম্পর্কে কতটা জ্ঞান রয়েছে, তার প্রমাণ হিসেবে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শংসাপত্র থাকতে হবে, অথবা আবেদনকারীর জেলায় বসবাসকারী দুজনকে মান্যতা দিতে হবে।
৯.    আবেদনকারীর চরিত্র সম্পর্কে সার্টিফিকেট দিতে হবে দুজনকে।

 

কোথায় আবেদন করবেন?

indiancitizenshiponline.nic.in- এই ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন একটি প্রক্রিয়া। এছাড়া ফর্ম ফিল আপ করে ডিএম বা ডিসি অফিসে গিয়ে জমা দেওয়া যায়।
কোনো অসুবিধা হলে মন্থন ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

ধন্যবাদ।

 

Leave A Comment